Notification texts go here Contact Us Buy Now!

Surah Al Qadr [ Laylatul Qadr ] Transliteration in English

Surah Al-Qadr is the 97th Surah of the Qur'an. Read Surah Al Qadr in Arabic. Read Surah Al Qadr in English. attaheyat.blogspot.com
4 qul (cahr qul) | powerful Surahs of the Holy Quran.
Surah Al-Qadr is the 97th Surah of the Muslim religious book of the Qur'an, its verse number is 5 and its Ruku' is 1. Surah Al Qadr was revealed in Mecca. It means greatness and respect. Because of its greatness and honor, it is called "Laylatul-Qadr" meaning the Glorious Night. This Surah mentions a night that is better than the night of a thousand months. And that night is "Laylatul-Qadr" i.e. the Glorious Night. So we should do more worship and repentance this night.

Surah Al Qadr
Surah Al Qadr

Surah Al Qadr Arabic:

Read Surah Al Qadr in  Arabic. Read Holy Quran Online at attaheyat.blogspot.com 


surah al qadr arabic
surah al qadr arabic

Surah Al Qadr English:

Read Surah Al Qadr in  English: Some surahs that are easy to learn. For example: Surah Al Qadr with English Translation is given below.



surah al qadr  english
surah al qadr english


Surah Al Qadr English Transliteration:

Surah Al Qadr Transliteration in  English. For those who cannot read Arabic, Surah Al Qadr is given below with its English pronunciation. But remember that English pronunciation is not always correct. So try to read  Arabic.





surah al qadr english transliteration
surah al qadr english transliteration



surah al qadr english transliteration
surah al qadr english transliteration               


 

শবে কদরে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। মূলত এজন্যই রমজান মাস কিংবা রাতের এত গুরুত্ব তাৎপর্য। পবিত্র কুরআন যদি রমজান ব্যতীত অন্য কোন মাসে নাজিল হতো, তাহলে মাসেরই গুরুত্ব ফজিলত থাকতো।

 

শবে কদরের এক রাতের ইবাদতকে পবিত্র কুরআনে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অন্যদিকে রমজানের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদাপালিত হয়। এবারের শবে কদর জুমাতুল বিদাবলতে গেলে হাতে হাত ধরেই আমাদের মাঝে এসেছে। তাই উভয়ের গুরুত্ব তাৎপর্য আলোচনার প্রয়াস পাব।

 

শবে-কদর পবিত্র কুরআনেকদরনামে স্বতন্ত্র একটি সূরা নাজিল করে আল্লাহতায়ালা শবে-কদরের গুরুত্ব অল্প কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেনআমি একে নাজিল করেছি শবে-কদর। শবে-কদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? শবে-কদর হলো হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ রুহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এটা নিরাপত্তা- যা ফজর উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে সূরা কদর।

 

২৬ রমজান দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর! কদরের শাব্দিক অর্থ মর্যাদা মাহাত্ম্য। অফুরন্ত মর্যাদা মাহাত্ম্যের পরপ্রেক্ষিতে রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। বিখ্যাত ইসলামিক মনীষী আবু বকর ওরবাক (রা.) বলেন, রাতের ইবাদত-বন্দেগীর কল্যাণে একজন নগণ্য মানুষও আল্লাহর দৃষ্টিতে মর্যাদাসম্পন্ন হতে পারে

 

কদরের আরেক অর্থ হলো তকদির হুকুম। সৃষ্টির প্রথম দিনে প্রত্যেক মানুষের ভাগ্যে যা কিছু লেখা থাকে, এক রমজান হতে অপর রমজান পর্যন্ত তার সরবরাহের হুকুম দায়দায়িত্ব আল্লাহপাক রাতেই ফেরেশতাদের দিয়ে দেন।

 

হযরত ইবনে আব্বাস (রাজি.)-এর বর্ণনামতে শবে-বরাতে আল্লাহ এক বছরের জন্য বান্দার রুজি-রিজিক, হায়াত-মউত অন্যান্য তকদীরী ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আর শবে কদরে সে সকল সিদ্ধান্তের প্রয়োগ রুজি-রিজিক প্রভৃতি সরবাহের দায়িত্ব আল্লাহ ফেরেশতাদের দিয়ে দেন (কুরতুবী)

 

মুহাদ্দিস ইবনে আবি হাতেম (রহঃ) তাফসীরের ইমাম মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলল্লাহ (সাঃ) একদিন সাহাবায়ে কিরামদের বৈঠকে বনি ইসরাইলের এক মুজাদিদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি এক হাজার মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে আল্লাহর সাধনায় লিপ্ত ছিলেন। কথা শুনে সাহাবায়ে কিরামের আফসোস হয় যে, এক হাজার মাস অর্থাৎ তিরাশি বছর চার মাস তো- যুগের অনেকে জীবনও পায় না।

 

তাই হযরত মূসা (আঃ)-এর উম্মত বনি ইসরাইলের মতো এতো অধিক সাওয়াব লাভের অবকাশও উম্মতে মুহাম্মদী (সাঃ)-এর নেই। সাহাবায়ে কিরামের আফসোস-অনুশোচনাকালে হযরত জিবরাইল (আঃ) আল্লাহর পক্ষ হতে কুরআন মজিদের সূরা কদর নিয়ে হুজুর (সাঃ)-এর কাছে আগমন করেন।

 

তাফসীরে মাআরিফুল কুরআনে ইবনে জরীর (রহঃ) কর্তৃক অপর একটি ঘটনা এভাবে উল্লেখ রয়েছে- বনি ইসরাইলের জনৈক ইবাদতকারী ব্যক্তি সমস্ত রাত ইবাদতে মশগুল থাকতো সকাল হতেই জেহাদের জন্য বের হয়ে যেতো এবং সারাদিন জেহাদে লিপ্ত থাকতো। সে এক হাজার মাস এভাবে কাটিয়ে দেয়।

 

এর প্রেক্ষিতেই আল্লাহতায়ালা সূরা কদর নাজিল করে উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। থেকে কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে,

শবে-কদর শুধু উম্মতে মুহাম্মদীরই বৈশিষ্ট্য। -(মাযহারী)

 

হাদিসে রয়েছে পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রজনীতে শবে-কদর নিহিত। কথা হলো, তাহলে আমরা রমজানের ২৬তম দিবাগত রাত কেন শবে-কদর উদ্যাপনে এতো ব্যস্ত হয়ে পড়ি? প্রশ্নের জবাবের আগে শবে-কদর এমন উহ্য রাখার হেতু সম্পর্কে আলোকপাত করা প্রয়োজন।

 

শবে-কদরকে গোপন রাখার মধ্যে রয়েছে আল্লাহতায়ালার বিরাট হিকমত রহস্য। প্রত্যেক মূল্যবান বস্তু হাসিল করা যেমন কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তেমনি আল্লাহর উদ্দেশ্য হলো মহামূল্যবান রাতের অনুসন্ধানে বান্দাগণ সাধনা করুক, এক রাতের জন্য ৩০টি রাত জাগ্রত থাকুক। মানুষ দুনিয়ার কতো তুচ্ছ জিনেসের জন্য কতো রাতের নিন্দ্রা হারাম করে দেয়।

 

কিন্তু হাজার মাসেরও অধিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি রাতের জন্য কিছু কষ্ট স্বীকার করতে পারে না। ওলামায়ে কিরামগণ শবে-কদরের গোপনীয়তার আরেকটি রহস্য এভাবে ব্যক্ত করেন যে, শবে-কদর যদি নির্দিষ্ট রাতে অনুষ্ঠিত হতো এবং তামানুষের জানা থাকতো, তবে অনেক অলস গাফেল হতভাগ্য ব্যক্তি এমন একটি মহান রাতের মর্যাদা না দিয়ে আল্লাহর গজবে পতিত হতো।

 

জন্য উচিত হলো শেষ দশকের প্রতি বেজোড় রাতে জাগ্রত থেকে কিছু জিকির-আজকার, তসবীহ-তাহলীল, তেলাওয়াত, নফল নামাজ প্রভৃতির মাধ্যমে শবে-কদরের ফজিলত অর্জনের চেষ্টা করা। অন্তত এশা ফজর নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা। হাদিসে রয়েছে এশা এবং ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা প্রকারান্তরে সম্পূর্ণ রাত ইবাদত করার সমতুল্য।

 

এবার ফিরে আসি রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে কেন আমরা শবে-কদর উদ্যাপন করি সেদিকে।

 

কাজী খান, মাআরিফুচ্ছানান কিতাবে শবে-কদরের ইবাদতের জন্য ২৭ তারিখের গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তাফসীরে ইবনে কাসীরে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর উক্তি উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে- ‘শবে-কদর নির্দিষ্ট দিনেই হয়ে থাকে

 

২৭তম রমজানে শবে-কদর পালনের নিগূঢ় তত্ত্ব সম্পর্কে হযরত আবু হানিফা (রহঃ)-এক মতে বলেছেন, কদরের ফজিলত বর্ণনা করে পবিত্র কুরআনে যে সূরায়ে কদর নাজিল হয়েছে, তাতেলাইলাতুল কদরবাক্যটিতে ৯টি অক্ষর রয়েছে। সে হিসেবে *=২৭ রমজানকেই আমরা শবে-কদর হিসেবে পালন করি।

 

শবে-কদরের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে খুব অল্প কথায় ব্যাপক কথা বলা হয়েছে- শবে-কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এখানে কতো হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তারপরও যদি একে কমপক্ষে এক হাজার মাস ধরা হয়, তাহলে হিসেব করলে দেখা যায় তা৮৩ বছর মাস হয়ে থাকে।

 

অর্থাৎ শুধু শবে-কদরের একটি রাতে ইবাদতের দ্বারা ৮৩ বছর মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে ইবাদত করার সাওয়াব পাওয়া যাবে বলে হাদিস বিশারদগণ বলেছেন। বর্তমান পৃথিবীর মানুষ গড়ে মাত্র ৪৮ বছর হায়াত পায় বলে এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে। এককভাবে দেখা গেলে প্রতীয়মান হয় যে, আশি বছরের অধিক হায়াত অনেকের ভাগ্যেই এখন আর জোটে না।

 

সে মতে হিসেব করলে দেখা যাবে, ৮০ বছর কেউ হায়াত পেলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা হিসেবে তার হায়াতের ৪০ বছর রাত থাকে, জাগ্রত মাত্র ৪০ বছর। ৪০ বছর হিসেব করলে দেখা যাবে যারা নিয়মিত ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তারা প্রতি ওয়াক্ত নামাজের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করেন। সে হিসেবে দৈনিক মাত্র সোয়া এক ঘন্টা সময় মানুষ ইবাদতে কাটায়।

 

হিসেব মতে, সার্বসাকুল্যে দেখা যাবে ৮০ বছরের জীবদ্দশায় মাত্র থেকে দেড় বছর ইবাদতে কাটানো হয়। অথচ শুধু শবে-কদরে এক রাতে ইবাদতের মাধ্যমে একাধারে ৮৩ বছর মাস ইবাদতের ফজিলত পাওয়া যায়।

 

বুখারী মুসলিম শরীফের হাদিসে বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তি শবে-কদরে দন্ডায়মান থাকে অর্থাৎ ইবাদত করে দ্বীনের হুকুম মনে করে এবং সাওযাবের নিয়তে, তবে তার অতীত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

 

তাই শবে-কদরের ইবাদত মানবজীবনের পাপমুক্তি আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য অপরিসীম কল্যাণকর। শবে-কদরের ইবাদতের মধ্যে রয়েছে নফল নামাজ আদায়করা, কুরআন তেলাওয়াত করা, জিকির-আজকার করা, তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা, দরুদ শরীফ বেশি পরিমাণে পড়া, দান-সদকা করা ইত্যাদি। তাইতো প্রতিটি মুসলমানের উচিত রাতে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে নিজ পাপরাশি ক্ষমা করিয়ে নেয়া। কারণ, নবী করিম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের মতো পুণ্যময় মাস পেয়েও তার পাপরাশি ক্ষমা করিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তার ধ্বংস অনিবার্য।

 

বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বরকতময় রাত হলো শবে কদর। জীবন্ত মুজিজা মহাগ্রন্থ আলকোরআন এই রাতেই প্রথম নাজিল হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মাহাত্ম্যপূর্ণ রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় রাত্রি কী? মহিমান্বিত নিশি সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাত্রিতে ফেরেশতারা রুহুল কুদুস হজরত জিবরাইল (.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুমতিক্রমে, সকল বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষা উদয় পর্যন্ত।’ (সুরা-৯৭ কদর, আয়াত: -)

 

আরবিতেলাইলাতুল কদরবা কদর রজনী, এর ফারসি হলো শবে কদর। অর্থ সম্মানিত মর্যাদাপূর্ণ মহিমান্বিত, সম্ভাবনাময়, ভাগ্যনির্ধারণী রজনী।

 

পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস রমজান মাস, কোরআন নাজিলের রাত শবে কদর। রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে রহমত তথা হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে জিবরাইল (.)–এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি কোরআন কারিম অবতীর্ণের সূচনা হয়।

 

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি রূপে হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে।’ (সুরা- বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।’ (মুসলিম) রাতগুলো হলো ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ২৯। আরবিতে দিনের আগে রাত গণনা করা হয়। অর্থাৎ ২০, ২২, ২৪, ২৬ ২৮ রমজান দিবাগত রাত্রসমূহ।

 

মুফাসসিরিনে কিরাম বলেন, আরবিতেলাইলাতুল কদরশব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরেলাইলাতুল কদরশব্দদ্বয় তিন তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে বা নয়কে তিনবার যোগ করলে সাতাশ হয়, তাই সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। (তাফসিরে মাজহারি) হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি বলবে, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’(‘হে আল্লাহ! আপনি ÿক্ষমাশীল, ক্ষমা করা পছন্দ করেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।’) (ইবনে মাজা, আস-সিলসিলাতুস সহিহাহ, নাসিরুদ্দিন আলবানী)

 

    পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস রমজান মাস, কোরআন নাজিলের রাত শবে কদর। রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে রহমত তথা হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে জিবরাইল (.)–এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রতি কোরআন কারিম অবতীর্ণের সূচনা হয়

 

সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি শরিফ, ইমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ২৫, খণ্ড: , পৃষ্ঠা: ২৯-৩০, হাদিস: ৩৪; . ফা.)

 

শবে কদরে যেসব আমল করা যায়: নফল নামাজতাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলিল মাসজিদ, আউওয়াবিন, তাহাজ্জুত, সালাতুত তাসবিহ, তাওবার নামাজ, সালাতুল হাজাত, সালাতুশ শোকর অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া। নামাজে কিরাআত রুকুসিজদা দীর্ঘ করা। কোরআন শরিফ: সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, ইয়া-সিন, সুরা -হা, সুরা আর রহমান অন্যান্য ফজিলতের সুরা তিলাওয়াত করা; দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া; তাওবাইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা; দোয়া কালাম, তাসবিহ তাহলিল, জিকির আসকার ইত্যাদি করা; কবর জিয়ারত করা। নিজের জন্য, পিতামাতার জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সব মুমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং দেশ জাতির কল্যাণ সমৃদ্ধি এবং বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনা করে দোয়া করা।

 

এই রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে অবতরণ করে বান্দাদের ডেকে ডেকে বলেন, ‘কে আছ অসুস্থ আমার কাছে চাও আমি শেফা দান করব, কে আছ অভাবগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি প্রাচুর্য দান করব, কে আছ বিপদগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি বিপদমুক্ত করে দেব।

 

লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য নবীজি (সা.) শেষের ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। হজরত আয়িশা (রা.) বলেন, ‘ওফাতের আগ পর্যন্ত প্রত্যেক রমজানের শেষের ১০ দিন রাসুল (সা.) ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি: ২৩২৬, মুসলিম: ১১৭২)কিন্তু তিনি যে বছর ওফাত পান, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেন।’ (বুখারি: ৪৯৯৮)রাসুল (সা.)–এর ওফাতের পরও তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি: ২০২৬, তিরমিজি: ৭৯০)


যে রাতে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হবে তার কিছু আলামত হাদিস শরিফে এসেছে:
১. আকাশ মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল থাকবে। তিরমিজি
২. ঠাণ্ডা ও গরমের মাঝামাঝি তথা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকবে। তিরমিজি
৩. রাতগত দিনে সূর্য উদিত হবে আলোক-রশ্মীহীন অবস্থায়, অর্থাৎ সূর্যের চিরচেনা তেজবিহীন অবস্থায়। মুসলিম, সহিহ ইবনে খুযায়মা

মহিমান্বিত এ রাত পেলে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে? কী চাইবে? এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বলেন: একবার আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, যদি আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী দোয়া পড়বো? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুয়্যুন; তুহিব্বুল আ’ফওয়া; ফা’ফু আ’ন্নী।’ অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। সুনানুত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩

 

এছাড়াও এই রাতে নিজেকে নানাবিধ ইবাদতে ব্যস্ত রাখা। কারণ এই রাতের ইবাদতের দ্বারা আমাদের জীবনের গুণাহসমূহ আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দিবেন। তাই আমাদের উচিত এই রাতকে অবহেলায় না কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল রাখা। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে লাইলাতুল কদর পালন করে কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুক। আমিন বিজাহিন নাবিয়্যিল কারিম রাউফুর রাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

About the Author

4 qul (cahr qul) | powerful Surahs of the Holy Quran.
The 4 qul (cahr qul) are known as the short yet powerful Surahs of the Holy Quran. Reciting 4 qul (char qul) regularly protects against black magic, evil eye, polytheism, and Satan. Surah Al Kafirun and Surah Al Ikhlas protect against Shirk which is…

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.